ভ্রমণ ডেস্ক:
ব্যস্ততা থেকে সাময়িক রক্ষা পেতে ভ্রমণ হয়ে ওঠে মূল অনুষঙ্গ। আর তার জন্য প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি। প্রস্তুতি ছাড়া কোনো কিছুই ঝামেলামুক্ত হতে চায় না। ভ্রমণের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। তাই কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখলেই ভ্রমণ হতে পারে ঝামেলামুক্ত।
অনেকের কাছেই চাপমুক্তির উপায় ‘ভ্রমণ’। যেহেতু প্রতিযোগিতার বাজারে চাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। আর সেই চাপের ফলে অনেক সময়ই মানসিকভাবে অবসাদও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে নতুন জায়গা ভ্রমণ করা মানসিক চাপকে কমিয়ে একেবারে ফ্রেশ করে তুলতে পারে।
তবে অনেক সময়ই বাজেট মতো সবকিছু করা যায় না। ফলে অনেকেই আবার সস্তা প্যাকেজ খুঁজতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। কিন্তু সাধারণ কয়েকটি কৌশলের মাধ্যমে খুব সহজেই ম্যানেজ করা যেতে পারে বাজেটকে।
তাই সময় নিয়ে পরিকল্পনা করুন। ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে জেনে নিন স্থানীয় হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং পথঘাটের বিষয়ে। এতে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন আনুমানিক খরচ সম্পর্কে। বেড়ানোর জন্য সঠিকভাবে বিনিয়োগ করুন। প্রয়োজন হলে আলাদা করে একটি ‘হলিডে ফান্ড’ বানাতে পারেন।
পরিকল্পনা করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন, যখন পরিকল্পনা করছেন; তখনকার খরচের বিলের সঙ্গে ভবিষ্যত বিলের মধ্যে পার্থক্য দেখা যেতে পারে। কারণ প্রতিমুহূর্তেই বেড়ে চলছে জিনিসপত্রের দাম।
সময় নিয়ে পরিকল্পনা করলে সঠিক ডিলের সন্ধান পেতে পারেন। ফ্লাইটের উপরেও পেয়ে যেতে পারেন ডিসকাউন্ট। তাছাড়া অনেক সময়ই বিভিন্ন সংস্থাকে ফুড এবং হোটেলের উপর ছাড় দিতে দেখা যায়। তাই খেয়াল রাখুন বিষয়টিকে।
বিদেশে ঘুরতে গেলে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সের বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারেন। কারণ লাগেজ হারানো বা মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স হতে পারে একটি ভালো অপশন।
ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন, ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ করে আসুন। অযথা চাপ কমাতে গিয়ে বাড়তি চাপ নিয়ে বাড়ি ফিরবেন না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।